বাজীকরণের জন্য তান্ত্রিক পদ্ধতি প্রয়োগ

কামশক্তি কে বৃদ্ধি করার অপর নাম হচ্ছে বাজীকরণ। সেই সময়ে রাজা-জমিদাররা বহু স্ত্রীর কারণে বাজীকরণ করতেন। এই বিষয়টি আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র এবং তন্ত্র-শাস্ত্রে স্পষ্টভাবে খুঁজে পাওয়া যায়। এই ওয়েবসাইটে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে অনেক প্রবন্ধে বাজীকরণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা সেখান থেকে এর বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।


বাজীকরণের জন্য তান্ত্রিক প্রয়োগ


প্রথম পদ্ধতি— তেঁতুলের বীজের শাঁস সারা রাত জলে ভিজিয়ে রাখবে। সকালে শাঁসগুলি পেষণ করে তার সঙ্গে ভেলি গুড় মিশিয়ে আধ তোলা পরিমাণ বটিকা তৈরী করবে। প্রাতে ও সন্ধ্যায় এক একটি বটিকা দুধের সঙ্গে সেবন করলে বীর্য ও পুরুষত্ব শক্তি বৃদ্ধি পায়।

দ্বিতীয় পদ্ধতি—পেঁয়াজের রস ২০০ গ্রাম, মধু ৪০০ গ্রাম একসঙ্গে মিশিয়ে এ্যালুমিনিয়মের কড়াইয়ে পাক করবে। বেশ গাঢ় হয়ে এলে শিশিতে ভরে রাখতে হবে। প্রত্যহ প্রাতে ও সন্ধ্যায় এক চা-চামচ পরিমাণ খেলে কামশক্তি আশ্চর্যজনক ভাবে বৃদ্ধি পায়।

তৃতীয় পদ্ধতি—পেঁয়াজের রস ১ চা-চামচ, মধু ১ চা-চামচ মিশিয়ে প্রতিদিন চেটে খেলে অত্যন্ত উপকার হয়। সমস্ত শীতকালে এইভাবে খেলে সারা বছর পৌরুষ শক্তি সঞ্চিত হয়ে থাকে ।

চতুর্থ পদ্ধতি—একটি মাটির হাঁড়িতে পেঁয়াজ ভর্তি করে তার মুখ বন্ধ করে রাখবে। যাতে হাওয়া প্রবেশ করতে না পারে একথা মনে রাখবে। এই হাঁড়ি গোয়াল ঘরে ৪ মাস পর্যন্ত পুঁতে রাখতে হবে। পরে হাঁড়ি তুলে নিয়ে রোজ একটি পেঁয়াজ খেতে হবে। এর দ্বারা কামশক্তি বৃদ্ধি পায়।

পঞ্চম পদ্ধতি—গব্য ঘৃত ১ কিলো ও মাদার গাছের পাতা ১০০টি এনে পাতাগুলি ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখবে। ঘি এ্যালুমিনিয়ামের কড়াইতে দিয়ে উনুনে চাপিয়ে এক একটি পাতা ভাজতে হবে। যখন সমস্ত পাতা ভাজা হয়ে যাবে।

তখন ঘিয়ের কড়াই উনুন থেকে নামিয়ে ছেঁকে শিশিতে ভরে রাখবে। এই ঘি প্রত্যহ দু চা-চামচ, দুধ, রুটি বা ভাতের সঙ্গে খেলে, কামশক্তি বৃদ্ধি পায়।

ষষ্ঠ পদ্ধতি—আকরকরা, মালকাংগনী, তজ, জায়ফল, জৈত্রী, লবঙ্গ, ভীমসেনী কপূর প্রত্যেকটি ২ চা-চামচ নিয়ে তার সঙ্গে রংগমাহী ৫ চা চামচ একসঙ্গে চূর্ণ করে কাপড়ে ছেঁকে তার সঙ্গে অল্প গোলাপের আতর মিশিয়ে শিশিতে ভরে রাখবে, এই চূর্ণ ১ চা-চামচ নিয়ে, তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে ইন্দ্রিয়ে প্রলেপ দিলে, কামোদ্দীপন হয়। সপ্তম পদ্ধতি–পাকা এবং শুকনো অঞ্জীর ২ কিলো, গরম জলে ২/৩ বার ধুয়ে তাকে ছোট ছোট টুকরো করে কাটবে। চীনা বাদাম ভিজিয়ে পেষণ করবে, তারপর এ্যালুমিনিয়ামের কড়াইতে দুটি জিনিস চার কিলো ঘি দিয়ে ফোটাবে।

এই সঙ্গে মিছরী চূর্ণ ৪ কিলো, এলাচ ১০ গ্রাম, কেশর ১ চা-চামচ, চিরঞ্জী ১০০ গ্রাম, পোস্তা ১০০ গ্রাম, শ্বেত মুসলী ৪ চা চামচ, অভ্র ভস্ম দেড় চা চামচ, প্রবাল ভস্ম তিন চা-চামচ, মুগলী বেদানা ৪ চা-চামচ, শীতল চিনি ২ চা-চামচ, সমস্ত দ্রব্য চুর্ণ করে কাপড়ে ছেঁকে, তার সঙ্গে সব মিশিয়ে আঁচে পাক করবে। হালুয়ার মতো তৈরী হলে নামিয়ে কাঁচের শিশি বা জারে রেখে দিতে হবে। এই হালুয়া প্রাতে ও সন্ধ্যায় দুধের সঙ্গে সেবন করলে কামশক্তি ও দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। মাত্রা—১ থেকে ২ চা-চামচ প্রতিবার খেতে হয়। কামোদ্দীপক তন্ত্রে একে শ্রেষ্ঠ বলা হয়েছে।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url