ফুল ও মন্ত্রের মাধ্যমে ভালোবাসার মানুষকে বশীকরণ করুন
বশীকরণ শব্দটির সঙ্গে আমরা প্রায় সকলেই পরিচিত। কোন না কোন ভাবে আমরা বশীকরণ সম্পর্কে একটু হলেও শুনেছি। বশীকরণ কয়েকভাবে করা যায়। তার মধ্যে একটি হচ্ছে তন্ত্র। যেখানে মন্ত্রের সঙ্গে কিছু দ্রব্য সহকারে কাউকে আয়ত্তে আনা যায়।
এই প্রবন্ধে আমরা একটি সহজ বশীকরণ মন্ত্র মাধ্যম নিয়ে আলোচনা করব। একটি ফুলের মাধ্যমে আপনি এই মন্ত্রটির সাহায্যে আপনার পছন্দের মানুষকে পটাতে পারবেন। এটা খুবই সহজ এবং সন্দেহ হীন উপায়। আমরা মূলত যখন কাউকে ভালোবেসে কাছে পেতে চাই, তখনই তার প্রতি আমরা খুবই আকৃষ্ট হয়ে পড়ি। মনের কথা খুলে বলার পরেও কাছে না পেয়ে ভালোবাসার মানুষকে লাভ করতে বশীকরণের পন্থা গ্রহণ করে থাকেন।
তবে একটি কথা মনের রাখা ভালো, তা হলো: নিজের কাম-বাসনা পূর্ণ বা খারাপ উদ্দেশ্যে কাউকে বশীকরণ করা পাপ কার্যের মধ্যে পড়ে। এতে সাধক অদৃষ্টের কোপানলে পড়েন। এছাড়াও অতিরিক্ত হিংসা এবং ক্ষতির ইচ্ছা সাধন করলে সাধক নিজেই সংকটে ভূগেন। তন্ত্র শাস্ত্রগুলো অন্যের ক্ষতি উদ্দেশ্যে যেকোনো সাধনকেই বারণ করেছেন। তাই তন্ত্র শাস্ত্রগুলোতে সাধককে কাম, বাসনা ও মোহ ত্যাগ করে সাধন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বশীকরণে চামুণ্ডা মন্ত্র
“ওঁ চামুণ্ডে জয় জয় স্তম্ভয় স্তম্ভয় সর্ব্বান দম দম স্বাহা”
বিধি: নিবর্ত্তিত নিত্যক্রিয়ো সাধকঃ অনেন মন্ত্রেনাষ্টোত্তর শতাভিমন্ত্রিতং পুষ্পং যস্মৈ দীয়তে স বশ্যো ভবতি । প্রীত্যর্থে।
অর্থাৎ, রবিবার অথবা শুক্রবার বিছানা ছেড়ে উঠে স্নান করে, পরিষ্কার পোশাক পরিধান করে, সুর্য উদয়ের পর থেকে সকাল দশটার আগেই একটি সুস্থ সবল ফুল নেবে। যে কোন একটি রঙ্গের ফুল হলেও চলবে। ফুলটি যেন পোকা খাওয়া বা আধমরা না হয় সেদিকে নজর রাখবে। এবার ফুলটিকে হাতে নিয়ে পূর্ব মুখে হয়ে ফুলের উপর "ওঁ চামুণ্ডে জয় জয় স্তম্ভয় স্তম্ভয়...." এই মন্ত্র একশত আটবার জপ করবে। এই জপ করা ফুলটি সকাল দশটার আগে যাহাকে প্রদান করিবে যে বশীভূত হইবে।
মন্ত্রের ভালো ফলাফল পেতে ষটকর্ম বিধি দেখুন, বিশ্বাস রাখুন ও ধৈর্য ধরুন।