স্ত্রী কিংবা পুরুষ বশীকরণে কাপালিক যোগ মন্ত্র প্রয়োগ
তন্ত্র-মন্ত্র হল একটি আধ্যাত্মিক অনুশীলন যা বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের মধ্যে পাওয়া যায়, তাই এটি একটি নির্দিষ্ট দেশের জন্য নির্দিষ্ট নয়। যাইহোক, এটি হিন্দু, বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মে বিশেষভাবে প্রচলিত। এছাড়াও ভারতে পাওয়া সমস্ত ধর্ম গুলো বর্তমানে কোন না কোন ভাবে তন্ত্র-মন্ত্র চর্চা করে আসছে। এই তন্ত্র মন্ত্র গুলো বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়। তার মধ্যে একটি হচ্ছে বশীকরণ। এই প্রবন্ধে আমরা বশীকরণের যে মন্ত্রটা নিয়ে আলোচনা করব, তার নাম হচ্ছে কাপালিক যোগ।
কাপালিক যোগ খুবই শক্তিশালী তন্ত্র-বিদ্যা। এখানে মন্ত্র এর সাথে একাধিক দ্রব্যবস্তু সংযোজন করা হয়। যার মধ্যে কিছু কিছু খুবই দুর্লভ এবং দুষ্প্রাপ্য হয়ে থাকে। এটি প্রয়োগে অনেক সাহস বা সাহসিকতার প্রয়োজন হয়। এই কাপালি যোগ তন্ত্র মন্ত্র অসৎ কাজে ব্যবহার করলে সাধকের ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তাই আপনি যদি এটি ব্যবহার করেন, তাহলে অনেক ভেবেচিন্তে এর পদক্ষেপ নেবেন।
কপালং মানুষ: গৃহ্য কনকস্য ফলানি চ।
কর্পূর মধুসংযুক্তং নিঘৃস্থ্য তিলকেন- চ॥
নারী বা পুরুষোঽনেন বশ্যো ভবতি নিত্যশঃ
এষো কাপালিকো যোগো বশিষ্ঠস্য শুভং মত॥
মনুষ্যের কপালের অস্থি, ধুতরার ফল, কপূর ও মধু, এই সকল একত্র করিয়া যে ব্যক্তি স্বীয় কপালে তিলক করিবে সেই ব্যক্তি এই তিলক প্রভাবে স্ত্রী কিংবা পুরুষ সকলেই তাহার বশীভূত হবে। এই কাপালিক বশিষ্ট মুনি বলিয়াছেন। ষটকর্মের দিক লক্ষ্য করলে দেখা যায়; শুক্র অথবা বরিবারে পড়ে এমন নবমী, দশমী, একাদশী বা অমাবস্যা তিথিতে সূর্য উদয়ের পর সকাল ১০টার আগেই এই কর্ম সম্পন্ন করলে উত্তম ফল লাভ হয়।