আর্থাইটিস (বাত) রোগ সমন্ধে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর ও চিকিৎসা পরামর্শ

সকালে উঠে গা হাত পা কোমর ভারী ভারী। কখনও কখনও হাঁটু, কখনও বা গােড়ালি ব্যথা। আবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকা। এটাই কি আর্থাইটিস? হ্যা, এটা এক ধরনের আর্থাইটিস। আসুন জেনে নেই আর্থাইটিস বা বিভিন্ন প্রকার বাত সমন্ধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর। জানাচ্ছেন, অধ্যাপক (ডাঃ) সুকুমার মুখােপাধ্যায়

❍ প্রশ্ন: আর্থাইটিস কি মহিলাদের বেশি হয়?

☛ উত্তর: আর্থাইটিস নানা রকমের। ওপরে যে লক্ষণগুলির কথা বলা হয়েছে তা রিউম্যাটয়েড আথাইটিস বা গেঁটে বাতের। গেঁটে বাত মহিলাদের বেশি হয়। আগে অবশ্য যেকোনও দীর্ঘস্থায়ী গাঁটের ব্যথাকেই গেঁটে বাত বলা হত। আজকাল রিউম্যাটয়েড আর্থাইটিসকে বলা হয়।

❍ প্রশ্ন: এর থেকেই কি ভবিষ্যতে হার্টের ভাল্ভ খারাপ হয়ে যায়?

☛ উত্তর: না, সেটা রিউম্যাটিক আথাইটিস। ১০-১৫ বছর আগে পর্যন্ত প্রচুর দেখা যেত। কিন্তু ইদানীং শহরাঞ্চলে তাে বটেই গ্রামের দিকেও এ রােগের প্রকোপ খুব কম।

❍ প্রশ্ন: গেটে বাত কি চোখেও হতে পারে?

☛ উত্তর: কারাের ক্ষেত্রে গেঁটে বাতের সূত্রপাতে অল্প জ্বর, একটা বা দুটো চোখ টকটকে লাল হয়ে যেতে পারে। একে বলে এপিসক্লেরাইটিস আইরাইটিস, চোখের বাতও বলা হয়। এরপর ধীরে ধীরে শরীরের ছােট ছােট গাঁটগুলিতে ব্যথা শুরু হয়ে যায়।

❍ প্রশ্ন: রিউম্যাটয়েড আর্থাইটিস সারে?

☛ উত্তর: আমরা বলি “ রিলাপস অ্যান্ড রেমিশন। ওষুধ নিয়মিত খেলে শতকরা ৭০ ভাগ ক্ষেত্রে এরকম হয়। শতকরা ১৫ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান। বাকী ১৫ জনের রােগ কিন্তু সারে না।

❍ প্রশ্ন: তার মানে শতকরা ৮৫ ভাগ ক্ষেত্রে সারবে না?

☛ উত্তর: আজকাল এত ভাল ওষুধ বেরিয়ে গেছে যে প্রথম অবস্থা থেকে চিকিৎসা করালে যথেষ্ট ভাল থাকা যায়। চিকিৎসা না করালে কিন্তু অচিরেই শয্যাশায়ী হয়ে পড়তে হবে

❍ প্রশ্ন: এর চিকিৎসা কি খুবই খরচ সাপেক্ষ।

☛ উত্তর: রােগের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে মাসে মােটামুটি হাজার টাকার মতাে। ১০-১৫ বছর ধরে টানা চিকিৎসা চলতে পারে। এবং সব কিছু করে যাওয়া সত্ত্বেও মাঝে মধ্যে কষ্ট পাওয়ার ব্যাপারটা থেকে যায়। অনেকে তার ফলে মনের জোর হারিয়ে ফেলে চিকিৎসা বন্ধ করে দেন।

❍ প্রশ্ন: রিউম্যাটয়েড আর্থাইটিসের যন্ত্রণা কি খুবই মারাত্মক?

☛ উত্তর: হ্যা, গটগুলাে ফুলে গরম হয়ে মারাত্মক ব্যথা হতে পারে কখনও। বিভিন্ন গাঁটে ব্যথাটা ঘুরে বেড়ায়। ব্যথা শরীরের দু'দিকেই সমান ভাবে হয়। যেমন দু'হাটুতে বা দু ' গােড়ালিতে। দু ’ জিতে বা দু ' কনুইয়ে। হাতের ছােট গাঁটগুলিতেই ব্যথা হয় বেশির ভাগ সময়।

❍ প্রশ্ন: ব্যথা হলে কী করব?

☛ উত্তর: খুব ব্যথা হলে এবং ফুলে গেলে বরফের সেঁক দিতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শমতাে ওষুধ খেতে হবে প্রয়ােজনে বিশ্রাম নিতে হতে পারে।

❍ প্রশ্ন: এই ধরনের ব্যথায় গরম সেঁকের কোনও ভূমিকা আছে?

☛ উত্তর: ব্যথায় নেই। তবে গাটগুলিকে চালনা করতে অসুবিধে হলে গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে।

❍ প্রশ্ন: আর ফিজিও থেরাপি বা আলট্রাসােনিক রে?

☛ উত্তর: খুবই প্রয়ােজন। চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে ফিজিওথেরাপি, আলট্রাসােনিক রে, ওয়া ’ বাথ সবই দরকার হয় পর্যায় ক্রমে।

❍ প্রশ্ন: এই রােগে ব্যবহৃত ওষুধের তাে শুনেছি খুবই খারাপ প্রতিক্রিয়া আছে শরীরে?

☛ উত্তর: যাই থাক ওষুধ খেতে হবে এবং খুব কড়া ভাবে ডাক্তারি তত্ত্বাবধানে। অনেক সময় রােগ আয়ত্তে রাখতে ২-৩ রকমের ওষুধ যেমন, স্যালাজোপাইরিন, মেথােট্রিকেট, ক্লোরােকুইন ইত্যাদি মিলিয়ে মিশিয়ে দিতে হয়। এবং ৩-৪ সপ্তাহ বাদে বাদে রক্ত পরীক্ষা করতে হয়। কারণ ভােজ বেশি হয়ে গেলে কিছু ক্ষেত্রে লিভার বা চোখের ক্ষতি হতে পারে। বােনম্যারাে ডিপ্রেশনও হওয়া সম্ভব।

❍ প্রশ্ন: স্টেরয়ে ব্যবহার করতে হয়?

☛ উত্তর: রােগীর অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে দিতে হয়। তারপর আস্তে আস্তে কমিয়ে একটা নির্দিষ্ট মাত্রা বজায় রাখতে হয় বেশ কিছুদিন।

❍ প্রশ্ন: স্টেরয়েড একবার ব্যবহার করলে নাকি অন্য ওষুধ আর কাজ করে না?

☛ উত্তর: খেতে খেতে আচমকা বন্ধ করে দিলে অ্যাড্রিনাল গ্ল্যান্ড কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। এছাড়া ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে স্টেরয়েড খাওয়া, বন্ধ করা বা অন্য ওষুধের কার্যকারীতা কোনও কিছুতেই কিছু অসুবিধে নেই।

❍ প্রশ্ন: রিউম্যাটয়েড আর্থাইটিসের চিকিৎসা কি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক করলে না অর্থোপেডিক সার্জেন?

☛ উত্তর: এটা একার কাজ নয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যেমন থাকবেন, তেমনই থাকবেন ফিজিকাল মেডিসিনের ডাক্তার। অপারেশনের জন্য তাে অর্থোপেডিক সার্জেনের সাহায্যই দরকার পড়বে।

❍ প্রশ্ন: এতসব চিকিৎসা করার পরও অপারেশনের দরকার পড়বে?

☛ উত্তর: সঠিক চিকিৎসা করানাের পরও শতকরা ১৫ জন রােগীর অবস্থা খারাপ হতে পারে। এই সংখ্যাটা তুলনামূলক ভাবে কম। বেশির ভাগ রােগীর অবস্থা খারাপ হয় সঠিক চিকিৎসার অভাবে। এসব ক্ষেত্রে অপারেশন দরকার হয়।

❍ প্রশ্ন: কী অপারেশন?

☛ উত্তর: অবস্থা বুঝে ৩ ধরনের অপারেশন করা যেতে পারে। যেমন,
(১) সাইনােভেকটমি। শরীরের সমস্ত গাঁট আলাদা আলাদা ভাবে সাইনােভিয়াম নামে পর্দার আড়ালে থাকে। প্রদাহের পদা ভেদ করে গটে ছড়িয়ে পড়া রুখতে এই অপারেশন করা হয়। এক্ষেত্রে পুরাে পদাটাকে চেঁছে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।
(২) আর্থোপ্লাস্টি অপারেশনের সাহায্যে ক্ষতিগ্রস্ত গাঁট মেরামত করা যায়।
(৩) মেরামতের অযােগ্য গাঁট বাতিল করে নতুন নকল গট বসানাে হয়- জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট করে।

❍ প্রশ্ন: কোনও সাবধানতা নেই যা মেনে চললে রােগটা হবে না?

☛ উত্তর: রােগটি হয় শরীরের রােগ প্রতিরােধী ব্যবস্থায় কিছু ত্রুটি হলে। সেভাবে একে প্রতিরােধ করা যায় না। তবে কিছু কিছু সাবধানতা মেনে চললে এর প্রকোপ কমানাে যেতে পারে। যেমন,
(১) ওজন ঠিক রাখা। ওজন বেড়ে গেলে হাঁটু এবং গােড়ালিতে চাপ পড়ে। এই দু'জায়গা যদি আক্রান্ত হয়ে থাকে ওজন বাড়লে শয্যাশায়ী হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।
(২) নিয়মিত মাছ খেলে রােগের প্রকোপ কম থাকতে পারে।
(৩) হাঁটাচলার অভ্যেস বজায় রাখা।
(৪) রােগের লক্ষণ প্রকাশ পেলেই ডাক্তার দেখানাে।

❍ প্রশ্ন: রিউম্যাটয়েড আর্থাইটিসের প্রকোপ কি খুব বেশি?

☛ উত্তর: হ্যা, আমাদের দেশে মােট জনসংখ্যার শতকরা ৮ জন রিউম্যাটয়েড আর্থাইটিসে আক্রান্ত। এর মধ্যে বেশ কিছু আবার এস এল ই-তে ভােগেন।

❍ প্রশ্ন: এস এল ই কী?

☛ উত্তর: সিস্টেমিক লুপাস এরিথিমেটোসাস। অল্প বয়সী মেয়েদের হয়। রিউম্যাটয়েড আথাইটিসের সঙ্গে এই রােগ অনেক সময় গুলিয়ে যায়। গাঁয়ে : ব্যথা, জ্বর, চোখ লালের সঙ্গে এক্ষেত্রে মুখে ঘা থাকে। চুল পড়ে যেতে থাকে। পিরিয়ডের সময় সমস্যা বাড়ে।

❍ প্রশ্ন: চিকিৎসায় সারে এস এল ই?

☛ উত্তর: আয়ত্তে থাকে। তবে রােগ অনেক সময় ধরা পড়ে দেরিতে। আর দেরি হলে ব্লেন, হার্ট, কিডনি, চোখ, চামড়া সর্বত্র রােগ ছড়িয়ে গেলে সারিয়ে তােলা কঠিন হয়ে যায়।

❍ প্রশ্ন: এই রােগ প্রতিরােধেরও কোনও রাস্তা নেই?

☛ উত্তর: রােগ ধরা পড়া মাত্র ধৈর্য ধরে চিকিৎসা করা ছাড়া আর তেমন কিছু করার নেই। তবে, রােদে বেরােলে এদের চামড়ায় অ্যালার্জি বের হয় অনেক সময়। কাজেই রােদে বেরােনাে বন্ধ করতে পারলে ভাল। নয়তাে ছাতা, সানগ্লাস, সানব্লক ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। দ্বিতীয় সাবধানতা, ডাক্তারকে না বলে কোনও ওষুধ খাওয়া চলবে। কারণ এদের বিভিন্ন ওষুধেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

❍ প্রশ্ন: এর চিকিৎসাও কি রিউমাটয়েড আর্থাইটিসের মতােই?

☛ উত্তর: অধিকাংশ সময় ক্লোরােকুইন দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। অবস্থা ভেদে দীর্ঘমেয়াদি স্টেরয়েডও দেওয়া হয়।

মোটা মানুষদের অস্টিওআর্থাইটিস বেশি হয়

❍ প্রশ্ন: দু’বছর আগে হাঁটুতে চোট লেগেছিল। এখনও ব্যথা জানান দেয়।

☛ উত্তর: চোটের সঙ্গে এই ব্যথার সম্পর্ক নাও থাকতে পারে। যে সময় হয়তাে কার্টিলেজে আঘাত লেগেছিল। এখন অস্টিও আর্থাইটিসের সূত্রপাত হয়েছে।

❍ প্রশ্ন: অস্টিও আর্থাইটিস যে কোনও বয়সে হতে পারে?

☛ উত্তর: সাধারণত ৬০ বছর বয়সের পরে অসুখটি হয়। তবে চোট আঘাত অনেক সময় ব্যপারটাকে ত্বরান্বিত করে।

❍ প্রশ্ন: ঘর মােছা, উবু হয়ে বসে রান্না করা এসব কারণে নাকি আগেকার দিনে মেয়েদের হাঁটুতে অস্টিও আর্থাইটিস হতনা?

☛ উত্তর: এই ধারণা ঠিক নয়। মােটা না হলে মেয়েদের অস্টিও আর্থাইটিস একটু কমই হয়। বেশি হয় খেলােয়াড়এবং নর্তকীদের।

❍ প্রশ্ন: কেন?

☛ উত্তর: অতি ব্যবহারের ফলে। শরীরের সমস্ত ওজন বহন করে হাঁটু এবং কোমর। এমনিতেই এদের ওপর চাপ বেশি। তারওপর বেশি নাড়াচাড়া করলে কার্টিলেজের ক্ষয় বেশি হয়ে অস্টিও আর্থাইটিসের সূত্রপাত হতে পারে।

❍ প্রশ্ন: অনেকে বলেন কমােড ব্যবহারের ফলে এ সমস্ত রােগের সৃষ্টি।

☛ উত্তর: না। হাঁটু এবং কোমরের উপর অনাবশ্যক চাপ এড়াতে কমােডই ব্যবহার করা উচিত। হাঁটু গেড়ে নামাজ পড়ার ফলে মুসলমানদের মধ্যে এর প্রকোপ বেশি।

❍ প্রশ্ন: আর সিঁড়ি ওঠা নামা?

☛ উত্তর: যত কম করা যায় তত ভাল।

❍ প্রশ্ন: হাঁটু এবং কোমর ব্যথা মানেই কি অস্টিও আর্থাইটিস?

☛ উত্তর: বয়স যদি ৬০-এর ওপরে হয়, হাঁটু বা কোমরে ব্যথা এবং ফোলা ভাব থাকে, বা সিঁড়ি ওঠানামা করতে কষ্ট হয় বিশেষ করে নামতে, অস্টিও আর্থাইটিসের কথা ভাবতে হবে। এ : এ তাে হাড়ের জরা। সারিয়ে তােলা যায়?

☛ উত্তর: এই রােগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কার্টিলেজ। রােগ খুব বেশি দূর এগিয়ে গেলে কার্টিলেজের দুই উপাদান গ্লাইকোসামিন এবং কোনড্রয়টিন খাবারের মাধ্যমে শরীরে জোগান দিয়ে রােগের অগ্রগতি ঠেকানাে যায়। এছাড়া ব্যবহারকরাহয় কিছুনন স্টেরয়ডাল অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ (এন এস এ আই ডি) এবং প্রয়ােজন বােধে সেলিকবি, রফিকবি বা নিমেসুলাইড গােত্রের ব্যথা কমার ওষুধ। ফিজিওথেরাপির সাহায্যে হাঁটু, কোমর সচল রাখা সম্ভব।

❍ প্রশ্ন: অস্টিও আর্থাইটিসের রােগী তাে শেষ অবধি লাঠি নিয়ে চলাফেরা করেন।

☛ উত্তর: হাঁটুর ওপর চাপ কমাতে প্রথমে ওজন কমানাের কথা বলা হয়। পরের ধাপে হাঁটু যথাসম্ভব কম ব্যবহার করা। অর্থাৎ বার বার ওপর নীচ না করা বা সিঁড়ি ওঠানামা একদম বন্ধ করে দেওয়া, বাথরুমেকমােড ব্যবহারকরা, হাঁটু মুড়েনা বসা ইত্যাদি। রােগ আরও এগিয়ে গেলে চাপ কমাতে লাঠি ব্যবহার করতে হয় অনেককে।

❍ প্রশ্ন: হাঁটু বেঁকেও তাে যায় অনেকের?

☛ উত্তর: প্রথম দিকে ব্যথা, ফোলা থাকে। ব্যবস্থা না নিলে নড়াচড়ার ক্ষমতা কমে যেতে থাকে। শেষ অবধি বেঁকে যেতে পারে।

❍ প্রশ্ন: দুটো হাঁটুতে কি একই সঙ্গে রােগটি হয়?

☛ উত্তর: না, প্রথমে একটা হাঁটুতে হয়। পরে দ্বিতীয়টাও আক্রান্ত হতে পারে। আমাদের দেশে হাঁটুতে রােগটি বেশি হয়। কিন্তু বিদেশে বেশি হয় কোমরে। কাঁধেও হয় কখনও।

❍ প্রশ্ন: রােগটি কি বংশগত?

☛ উত্তর: প্রাইমারি অস্টিও আর্থাইটিস, অথাৎ বয়স বাড়ার ফলে যে হাড়ের ক্ষয়, বংশগত কারণে হতে পারে।

❍ প্রশ্ন: সেকেন্ডারি অস্টিও আর্থাইটিস ব্যাপারটা কী?

☛ উত্তর: কোনও কারণে এই রােগ হলে তাকে সেকেন্ডারী অস্টিও আর্থাইটিস বলে। যেমন, গাঁটে চোট লাগলে, পেশাগত কারণে ইত্যাদি।

❍ প্রশ্ন: এক্ষেত্রেও চিকিৎসা কি একই রকম?

☛ উত্তর: প্রথমে রােগের চিকিৎসা করতে হবে। তারপর উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা।

❍ প্রশ্ন: হঠাৎ খুব ব্যথা হলে কী করতে হবে?

☛ উত্তর: ফের পুলটিশ লাগাতে হবে। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। এতেও না কমলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করবেন।

❍ প্রশ্ন: জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি কখন দরকার হয়?

☛ উত্তর: হাঁটু বা কােমরের যখন আরনড়াচড়া করবার বা ভার বইবার ক্ষমতা থাকেনা। এবং মারাত্মক ব্যথা হতে থাকে।

❍ প্রশ্ন: দু'টো হাঁটু একসঙ্গে দরকার হয় না?

☛ উত্তর: কারাের ক্ষেত্রে দুটোহাঁটু একসঙ্গে খারাপ হতে পারে। সেক্ষেত্রেও একসঙ্গে দুটোতে করা হয়না। প্রথমে একটা হাঁটুতেকরে অবস্থাটা যাচাই করে নেওয়া হয়। পরে দ্বিতীয়টার কথা ভাবা হয়।

❍ প্রশ্ন: কেন, এই অপারেশন থেকে কি কোনও বিপদ হতে পারে?

☛ উত্তর: যে কোনও অপারেশন থেকেই বিপদ হতে পারে। এক্ষেত্রে হাঁটু বা কোমরের মূল গাঁট সরিয়ে দিয়ে চিনেমাটি বা স্টিলের গাট বসানাে হয়। শরীর তাকে কীভাবে মানতে পারছে কোনও সংক্রমণ বা অন্য কোনও অসুবিধে হচ্ছেকিনা সেটা দেখে নেওয়া দরকার। যদিও খুব কম ক্ষেত্রেই এই সমস্ত অসুবিধে হয়।

Previous Next
No Comments
Add Comment
comment url